*পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় পথশ্রী পকল্পের মাধ্যমে ৩৮৯ টি রাস্তা নির্মান, কটাক্ষ বিরোধীদের*
পূর্ব মেদিনীপুর ঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যে ৩০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের এই উদ্যোগ নিয়ে মেগা প্রচার চায় রাজ্য সরকার। তবে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এই ধরনের রাস্তা নির্মান নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।
রাজ্যে সরকারের পালাবদলের পর রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ঘটলেও অনেকাংশে এখনো কাচা রাস্তা রয়েছে। বিভিন্ন সময় দেখা যায় সাধারন মানুষকে আন্দোলনে নামতে এমনকি রাস্তা নির্মান না হলে ভোট বয়কট করার হুমকিও দিয়েছে। সাধারণ মানুষকে শান্ত করার জন্য এই ধরনের প্রকল্পের ঘোষনা বলে মনে করছেন বিরোধীরা।
দুয়ারে সরকারে ক্যাম্পে এলাকার মানুষ তাদের এলাকার রাস্তার বেহলা কথা তুলে ধরে আবেদন করে সেই আবেদনের ভিত্তিতে এবার রাজ্য সরকার পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তা নির্মানের পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৩৮৯ টি রাস্তার অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে, সেই রাস্তার ট্রেন্ডার প্রক্রিয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানাগিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে সেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।
যে সমস্ত রাস্তা এখনো কাচা রয়েছে সেগুলি বর্ষার আগে যাতে নির্মান করা যায় তার চেস্টা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তা নির্মান নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তপন ব্যানার্জি জানান," সরকার এতোদিন ধরে তার যা দায়িত্ব ছিলো রাস্তাঘাট ইত্যাদি সংস্কার করা,হঠাৎ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রাক্কালে কেনো করতে যাচ্ছেন এটা নিয়ে প্রশ্ন চিন্ন থাকছে। আর সব ক্ষেত্রেই তো দূর্নীতি চলছে, আবার নতুন করে ট্রেন্ডার করার মধ্যদিয়ে আবার কিছু টাকা রোজগার করার পথ ছাড়া আর কিছু না। আদোতে কোনো কাজ হবে কিনা এবিষয় নিয়ে সন্ধেহ আছে।
তবে বিরোধীদের করা অভিযোগের গুরুত্ব না দিয়ে তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেনকুমার জানান, বিরোধীদের কাজ বিরোধীতা করা। ২০১১ সালের পর থেকে বাংলার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় রাস্তাঘাটের কতটা উন্নয়ন হয়েছে তা সাধারণ মানুষ দেখছে। সব কাজ একসাথে শেষ করা যায় না। তাই আবার বাকি থাকা রাস্তার কাজ শুরু হবে দ্রুত। সাধারণ মানুষ যেটা চাইছে রাজ্য সরকার সেই কাজ আগে করার চেস্টা করে চলেছে।।
Mar 13 2023, 15:11